
সুবিধা বঞ্চিত কুষ্টিয়াবাসি হঠাত রাস্তার মাঝে ডিভাইডার আর সৌখীন ল্যাম্প-পোষ্ট দেখে অনেকেই ফেসবুকজুরে মন্তব্য করেছেন “বদলে যাচ্ছে কুষ্টিয়া”। যে সেবা পাওয়া উচিত ছিল আরও অনেক আগেই সেটা আমরা পাচ্ছি বহু পরে। তাও কোন যুতসই সেবা নয়। কুস্টিয়াবাসি কি জানে এই সৌখীন ল্যাম্প-পোষ্ট রোডের জন্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত। দইয়ের স্বাদ ঘোলে মেটান আর কি। এগুলো সাধারণত সিটি শহরের বিভিন্ন পার্কে নজরে পরে। অনেকেই খবর রাখেন না আমি যেখানে বসবাস করি সিটি শহরে এক বছরে কয়েক দফা এর চেয়ে বেশী বাজেটের ব্যয়বহুল এল ই ডি ল্যাম্প-পোষ্ট ভেঙ্গেচুরে আবার নতুন করে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। পাঠক ভেবে দেখেছেন কত কোটি কোটি ডলারের অপচয়? যেদেশে একটা বালিশ আর পর্দা কিনতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় সেখানে এই সৌখিন ল্যাম্প-পোষ্টে কত খরচ হয়েছে সেটা আমার জানা না থাকলেও অনুমান করি। আমি বলব যারা ল্যাম্প পোস্টের ছবি দিয়ে খুব খুশি আর উল্লাস করছেন এটা হচ্ছে কাঙ্গালের হাতে হঠাত ত্রানের বিস্কুট পাওয়ার সামিল। এই ল্যাম্পপোষ্ট থেকে সেবার মান নির্ভর করছে এটা টিকসই হবে কতদিনএবং এটা ভেঙ্গে গেলে কিংবা অতি নাগালে হওয়ায় খোয়া গেলে এটার তাৎক্ষনিক মেরামত করা কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের উপর। অবশ্য আমি স্বচক্ষে দেখে এসেছি লাগানোর পরের দিনই ল্যাম্প-পোষ্ট ভেঙ্গে পরে থাকতে, ১ মাসেও কারোর কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। সরকারী জিনিশ দরিয়ামে ঢাল। ভাংলেই কি, চুরি হলেই কি আর অপচয় হলেই কি, আমার কি যায় আসে? কিন্তু পাঠক সত্যিই আমার যায় আসে। গর্ব করে বলতেই হয়, কারন আমি সরকারকে পাইটুপাই ট্যাক্স প্রদান করছি। আমার ট্যাক্সের টাকার অপচয় আমার সহ্য হবার কথা নয়, আমার ভালো লাগার কথা নয়। যাই হোক অতৃপ্ত থেকেও তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলছি আমি কিন্তু এতেই মহা খুশি কারন নাই মামার চেয়ে কানা মামা অনেক ভালো। কুস্টিয়াবাসি হিমশীতল ঠাণ্ডায় সাবধানে থাকবেন, সুন্দর থাকবেন ভালো থাকবেন।
